ভোরের আকাশে উঠেছিল চাঁদ,
তাকবিরে কেঁপেছে বাতাসের বাঁধ।
সাদা পোশাকে ছিলো এক দীপ্তি,
মনটা গেয়েছে শান্তির সঙ্গীতি।
নামাজ শেষে মুখে হাসির রেখা,
কোলাকুলির মাঝেই হৃদয়ের দেখা।
প্রার্থনায় ভেজা চোখের জল,
আল্লাহর কাছে নত প্রতিটা কল।
মায়ের হাতের সেই সেমাই ঘ্রাণ,
শৈশব ডেকে বলে, “চলো ফিরে প্রাণ!”
বোনের হাতে রাঙা মেহেদির ছবি,
স্মৃতির পাতায় যেন এক শুভলিপি।
বন্ধু এলো, বুক ভরা গল্প,
হাসির খই ফুটে উঠে স্বল্প।
ছোট ভাই চায় সালামির ভাগ,
ঈদের হাসি ছড়িয়ে পড়ে সাগর-নাগ।
তবুও হৃদয়ে একটুখানি ক্ষত,
কারো অভাব বাজে নীরব রথ।
চোখের কোণে জমে এক নাম,
ঈদের খুশিতে বাজে নিরব দামামা।
ছবির ফ্রেমে, স্মৃতির গন্ধে,
একাকিত্বও হাসে নিরব সন্ধ্যে।
তবুও শুকরিয়া, ও প্রভু মহান,
তোমার দয়াতেই কেটেছে এই প্রাণ।
না-পাওয়া কিছু ছিলো ঠিক,
তবুও ছিলো মনের ঈদের স্নিগ্ধ লিখ।
সেজদার রাতে পেয়েছি আলোর ছোঁয়া,
এই তো আমার ঈদ—আদর আর কান্নায় মোড়া।
চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।