এক সময়ের ভাটি বাংলার রাজধানী খ্যাত আজমিরীগন্জ ভ্রমণ :
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে সকাল শুরু হলেও সূর্যি মামার কল্যাণে ভ্যাপসা গরমে রওয়ানা দিলাম আমরা কজন। গন্তব্য ছিলো আজমিরীগঞ্জ সরকারি কলেজ।আমার বড় দুলাভাই অধ্যক্ষ ওমর ফারুক চৌধুরী আগামী আগষ্ট মাসে এল পি আর এ -তে চলে যাবেন বিধায় দাওয়াত রক্ষার তাগিদ।
সেই ১৯৯৫ সালে একবার গিয়েছিলাম নৌকাযোগে আর ২০২৫ সালের ২৫ শে জুন গেলাম গাড়ি দিয়ে, তথাপি রাস্তার মসৃণতা এমন ছিলো যে সেই নৌকার দুলুনিটা মোটামুটি টের পেলাম বেশি না হলেও কম নয়।
প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে দু’ধারের সবুজ দেখতে দেখতে পৌঁছার সাথে সাথে সাদর সম্ভাষণটা ছিল অত্যন্ত চমকপ্রদ। শুরুটা হয়েছিল উনার হাত ধরে একটা প্রাচীন জমিদার বাড়ি ক্রয়ের মাধ্যমে। নিজ সন্তানের মত ধীরে ধীরে লালন পালন করে কলেজটি আজ মহীরূহ।
তখন চলছিলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। এতে আমরাও যোগদান করে অনেক মূল্যবান কথা শুনতে ও জানতে পারলাম।
কলেজের শিক্ষকগণ সহ কর্মচারী বৃন্দের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা বিরাজ করছিলো সবার চোখে মুখে। পুরাতন ভবন,নতুন ভবন, সম্মুখপানে নামধারী কলেজ গেইট,শহীদ মিনার সব ই যেন একেকটি চিত্রকর্ম।দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষকগণের অক্লান্ত শ্রমে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা অন্যান্য অঞ্চল থেকে মানসম্মত সাফল্য অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়।
ভোজনবিলাসের পর স্বল্প পরিসরে আড্ডা গান ছিলো চিত্তাকর্ষক। সময় ও নদীর স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করেনা তেমনি আমাদের সময়ও শেষ। পঁচিশ ছয় দুই হাজার পঁচিশ সালের, পঁচিশে জুন মাস হৃদয়ের মনিকোঠায় থাকলো স্বযত্নে।
অতঃপর বিদায় পর্বে শুভেচ্ছা বিনিময়ে যার যার আপনালয়ে প্রস্হান। যাত্রাপথে জলি আপার মালাই চা আপ্যায়নের চমকপ্রদ আবিস্কার সত্যিই বিস্ময়কর ছিলো।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে এমন হুটহাট বেড়ানো হলে মানসিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায়। আর যদি সঙ্গী থাকে নাজমুন নাহার খানম ( হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ),জেবিনা আক্তার খানম( শিক্ষক), রুমেনা আক্তার খানম( শিক্ষক) রাহিমা আপা ( সাবেক কমিশনার), অর্ধেক ডাক্তার (৫ম বর্ষ) সিদরাতুল মিনতাহা, সুমিষ্ঠ কন্ঠের অধিকারী জনপ্রিয় (কন্টেন্ট ক্রিয়েটর) জলি আপা, (বাংলাদেশ বেতার শিল্পী) লাইজু ভাবী –তাহলে নিরানন্দ কোথায় লুকোবে পথ খুঁজে পায় না।
কলমে: জিন্নুন নাহার খান
সহযোগী সম্পাদক
সময়ের ধ্বনি অনলাইন পোর্টাল।