মোঃ আশিকুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার :-
হবিগঞ্জ জেলার সবচেয়ে ভাটি এলাকা হিসেবে পরিচিত আজমিরীগঞ্জ উপজেলা। একে ভাটি এলাকার রাজধানীও বলা হয়। যার অর্ধেক এলাকাই বছরের অর্ধেক সময় জলমগ্ন থাকে। জেলার সবচেয়ে নিচু ভূমি হিসেবেই পরিচিত এটি। হাওর বেষ্টিত এ উপজেলাকে ঘিরে রেখেছে সুরমা, কুশিয়ারা, কালনী, , ভেড়ামোহনার মতো খরস্রোতা নদী। এছাড়া আছে অসংখ্য ছোট ছোট নদী, নালা ও খাল। এই উপজেলার দু’পাশ ঘিরে আছে সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলা। আষাঢ় মাস চললেও উপজেলার
হাওরে পানি নেই। উত্তপ্ত সূর্যের আলোয় হাওরের ডোবা, খাল-বিল ও নদী এখন পানিশূন্য। ৩-৪ দিন যাবৎ বৃষ্টি হলেও হাওরে যে ঢুকবে এমন পরিস্থিতি এখনও হয়নি। তবে উজানে অতিবৃষ্টির কারণে আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে নদ-নদীতে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষাকাল এলেও এখনো বর্ষার পানি আসেনি, যা সেখানকার স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত বর্ষাকালে হাওর ও নদীতে পানি আসার কথা, কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে,অন্যান্য বছর হাওর এ সময় পানিতে থৈ থৈ করত। কিন্তু এবার নামমাত্র বৃষ্টি হওয়ায় হাওর ও নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে, এতে উপজেলায় কমে গেছে মাছ। অন্যদিকে আউশ ও রোপা আমন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। বোরো মৌসুমে জমির উর্বরতা নিয়েও শঙ্কার শেষ নেই তাদের।স্থানীয়রা মনে করে কৈয়ার ঢালা নামক সুইচগেট রয়েছে দীর্ঘ বছর যাবত এটি কাজে আসে না। কোন না কোন কারনে ফসল রক্ষা বাধ ভেঙ্গে যায়, হয়ে যায় বন্যা।
জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন হতে পারে, যা বর্ষার পানি আসার উপর প্রভাব ফেলে।বর্ষার পানি না আসলে যা যা সমস্যা হতে পারে:কৃষিকাজে সমস্যা: হাওর অঞ্চলের কৃষকেরা বর্ষার পানির উপর নির্ভরশীল, তাই পানি না আসলে ফসল ফলাতে সমস্যা হবে।মৎস্য উৎপাদন কমে যাওয়া: মাছের প্রজনন ও বংশবিস্তারের জন্য পানির প্রয়োজন, তাই পানি না আসলে মাছের উৎপাদন কমে যেতে পারে।