আমার গাঁয়ের সেই ছবিটা পাইনা খুঁজে ভাই
সবার সেরা রূপের রাণী যার তুলনা নাই।
যে রূপ মোদের হৃদয় নদে তুলতো সুখের ঢেউ
কোন আঁধারে হারাচ্ছে রূপ রাখছেনা খোঁজ কেউ।
রূপ কাহন যা লিখে গেছেন বাংলার পল্লী কবি
সে রূপ এখন স্মৃতির পাতায় কেবল শুধুই ছবি।
শব্দ গাঁথায় বসেছি আজ সেই কথাটি স্মরে
সব হারানোর গল্প আজ বলব এক এক করে।
আমার গাঁয়ের মেঠোপথে চলতো গরুর গাড়ি
সেথার পরে চলছে এখন কলের চাকার গাড়ি।
পাকা সড়ক ধরে এলো নগর মায়া ধেয়ে
হাল ফ্যাশনে মগন হলো গাঁয়ের ছেলে মেয়ে।
সহজ সরল মানুষ আজ ধরছে গরল বেশ
আত্মপ্রেমিক সবাই এখন নেইকো মায়ার লেশ।
উন্নয়নের নামে মোদের বিবেক রাখছি চুপ
উন্নয়নটা হচ্ছে বটে,গায়েব গাঁয়ের রূপ।
আমার গাঁয়ের দখিণ মাঠে বসতো শীতে মেলা।
সারা রাতভর হতো সেথায় যাত্রা গানের পালা।
কিচ্ছা পালার বসতো আসর জোছনাভরা রাতে
পুঁথি পাঠের আসরটাও জমতো তারই সাথে।
জারি,উরি,ঘাটু গান আজ হয়ে গেছে বিলীন
বাউল গানটা আছে তবু-আশার চেয়ে ক্ষীণ।
পল্লী গানে হয়না মুখর গাঁয়ের মেঠো- পথ
ধার করা গান গাঁয়ে এলো চড়ে নতুন রথ।
আমার গাঁয়ের পাড়ায় পাড়ায় খেলত হা ডু ডু খেলা
লাটিম,দাঁড়াগুটি খেলে শিশুদের কেটে যেত বেলা।
দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট খেলে ঝরাতো গায়ের ঘাম
আজকে তারা ভুলে গেছে বউচি খেলার নাম।
কানামাছি আর খেলেনা এখন ছেলে মেয়েরা মিলে
মজার মজার সেইসব খেলা ক্রিকেট খেয়েছে গিলে।
ক্রিকেট খেলা দেখে সবাই -এখন সময় করে পার
তাইতো আমার গাঁয়ের সেই রূপ দেখা যায়না আর।