ধরণীর এক অজো পাড়া-গাঁয়ে,বাঁধিব ঘর মম আপন মনে।
চাহিনা ধন,চাহিনা মান,চাহি শুধু ভালবাসা!
তাহা ছাড়া নাই মোর আর কোন আশা।
বাঁশের চাঁটাইয়ের বেড়া হইবে,ছাউনি তাহার ভেন্না পাতা।
নিশীথ কালে উঁকি দেবে চন্দ্র মামা,মাঝে মাঝে তাহার ফাঁক গলিয়া।
আরো তুমি দীপ্ত হইবে,সেই আলোক গায়ে মাখিয়া।
হেথা রাখিব তোমায় অতীব যতনে,থাকিবে তব মহা আদরে।
বনানীর যত তমাল তরু দিয়া সাজাইব তোমার নিবাস খানা।
অভ্যর্থনা দিবে সেথা রাতের আকাশের অসংখ্য ধ্রুবতারা।
কোকিল সেথা গাহিবে গান,কুহু স্বরে তাহার জুড়াইবে তব প্রাণ।
ময়ূর নাচিবে পেখম মেলিয়া,হৃদ নাচিবে তব তাহা দর্শিয়া।
নিম রজনীর আঁধার শেষে,ঊষা আসিবে সোনার রথে।
ঘণ সবুজ দূর্বা ঘাসে,হাঁটিবে তুমি নাঙ্গা পায়ে।
আলতা রাঙা তোমার পায়ের পাতা,
উজ্জ্বল হইবে আরো তাহার শিশিরে ভিজিয়া।
পড়ন্দ বৈকালের গোধূলী লগনে,
রঞ্জিত হইবে তুমি রাঙা শাড়িতে রবির কিরণে।
গোলাপের পাপড়ির রং রাঙাইয়া দিবে তোমার ঠোঁট।
তাহা দর্শিয়া চন্দ্র মামা ললাটে
তোমার আঁকিয়া দিবে নীল টিপ।
অবারিত থাকিবে সেথা বসন্ত পবন,
সতত শুধুই তোমার কারণ।
এইভাবেই আমি সাজাইব তোমার বসুন্ধরা,
তাহা দর্শিয়া মনের হরষে হইবে তুমি আত্নহারা।