হে পৃথিবী
আজ সারাবেলা রহিয়াছো মেঘের আড়ালে
দেখিনি কভু নয়নে,
অতিবৃষ্টি মৃত্তিকা ছোঁয়া পেলো!মুখরিত ধরণী
আজি সন্ধ্যায়,আকাশ ঝলমলে
তবুও দেখিনি তোমারে নয়নে,হে পৃথিবী!
হে পৃথিবী,
কত-শত দুর্গম পাহাড়ি গিরিপথ পেরিয়ে গিয়েছিলুম
ঝড় বইছে বিস্তীর্ণ নদীতে,
মরণের কাছে আত্মসমর্পণ তবে এগিয়ে চলছি
তোমারে এক পলক দেখিবার তরে!
হে পৃথিবী,
আঁধার ছেয়ে গেলো
বসুন্ধরা শিয়াল হাঁকিয়ে উঠিলো ঐ বনোগিরি
কাঁপিয়াছে উঠিয়েছে অন্তর
দূঢ় শক্তি মননে
হেরে যাইনি জীবন মরণের কাছে
ভালবাসা অপশক্তিকে রুখে।
হে পৃথিবী,
দেখিবার জন্য কাতর অশান্ত মন
অন্তরে স্বপ্ন দুয়ারে তুমি শুধু তুমি!
আসিবে কী একবার বলো না মোরে
আছো তো হৃদয় জুড়ে।
জেনে নিও রহিয়াছো গুপ্ত হৃদয় তুমি।
হে পৃথিবী,
সুন্দর নৈসর্গিক চরাচরে
আমি দেখি তোমারে নয়ন ভরে!বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায়
দৃশ্য পটে অনায়াসে হাসো তুমি!
চাতক পাখির মতো চেয়ে দেখি
তোমারি চাঁদের বদন!
হে পৃথিবী,
নির্দয় নে-কো হইও
খোলে দিও, তোমার’ই দুয়ার
ভালবেসে অষ্ট অঙ্গে রাখিও ধরণীতে
তুমি স্বপ্ন, তুমি প্রেম, তুমি সুখের পৃথিবী!